Padma Bridge | ২০২১ সালে খুলে দেয়া হবে স্বপ্নের পদ্মাসেতু
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মাণাধীন একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে লৌহজং, মুন্সিগঞ্জের সাথে শরিয়তপুর ও মাদারীপুর যুক্ত হবে, ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সাথে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটবে। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের জন্য পদ্মা সেতু হতে যাচ্ছে এর ইতিহাসের একটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্প। দুই স্তর বিশিষ্ট ষ্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাস ব্রিজটির (truss bridge) ওপরের স্তরে থাকবে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরটিতে থাকবে একটি একক রেলপথ। পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর আববাহিকায় ১৫০মিটার দৈর্ঘ্যর ৪১টি স্পান বসবে , ৬.১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮.১০ মিটার প্রস্থ পরিকল্পনায় নির্মিত হচ্ছে দেশটির সবচে বড় সেতু।[৩] সরকারের পরিকল্পনামাফিক ২০১৮ সালের শেষের দিকে এটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও তা হয় নি।[৪]
প্রকল্পটি তিনটি জেলাকে অন্তর্ভুক্ত করবে- মুন্সীগঞ্জ (মাওয়া পয়েন্ট / উত্তর পাড়), শরীয়তপুর এবং মাদারীপুর (জঞ্জিরা / দক্ষিণ পাড়)। এটির জন্য প্রয়োজনীয় এবং অধিগ্রহণকৃত মোট জমির পরিমাণ ৯১৮ হেক্টর। নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি ভাড়ার ভিত্তিতে আগামী ছয় বছরে অধিযাচন করা হবে।
প্রকল্প প্রস্তুতির সাথে যুক্ত কিছু লোকের দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় বিশ্বব্যাংক তার প্রতিশ্রুতি প্রত্যাহার করে নেয় এবং অন্যান্য দাতারা সেটি অনুসরণ করে। যাইহোক, দুর্নীতি অভিযোগ পরবর্তীতে মিথ্যা প্রমাণিত হয় এবং কোন প্রমাণ না পাওয়ায় কানাডিয়ান আদালত পরবর্তীতে মামলাটি বাতিল করে দেয়। বর্তমানে প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব সম্পদ থেকে অর্থায়ন করা হচ্ছে।[৫]
মূল প্রকল্পের পরিকল্পনা করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালের ২৮ আগস্ট ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকার বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু প্রকল্প পাস করেছিল। পরে আওয়ামী লীগ সরকার এসে রেলপথ সংযুক্ত করে ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি প্রথম দফায় সেতুর ব্যয় সংশোধন করে। তখন এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। পদ্মা সেতুর ব্যয় আরও আট হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়। ফলে পদ্মা সেতুর ব্যয় দাঁড়িয়েছে সব মিলিয়ে ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা । [৬]
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বাসেক) ২০১০ সালের এপ্রিলে প্রকল্পের জন্য প্রাক যোগ্যতা দরপত্র আহবান করে। ২০১১ সালের শুরুর দিকে সেতুর নির্মাণ কাজ আরম্ভ হওয়ার কথা ছিল[৭] এবং ২০১৩ সালের মধ্যে প্রধান কাজগুলো শেষ হবে (সকল কাজ ২০১৫ সালের শেষ নাগাদ সম্পন্ন হবে[৮])। প্রস্তাবিত পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প মাওয়া-জাজিরা পয়েন্ট দিয়ে নির্দিষ্ট পথের মাধ্যমে দেশের কেন্দ্রের সাথে দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সরাসরি সংযোগ তৈরি করবে। এই সেতুটি অপেক্ষাকৃত অনুন্নত অঞ্চলের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও শিল্প বিকাশে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখবে। প্রকল্পটির ফলে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ৪৪,০০০ বর্গ কিঃমিঃ (১৭,০০০ বর্গ মাইল) বা বাংলাদেশের মোট এলাকার ২৯% অঞ্চলজুড়ে ৩ কোটিরও অধিক জনগণ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে। ফলে প্রকল্পটি দেশের পরিবহণ নেটওয়ার্ক এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। সেতুটিতে ভবিষ্যতে রেল, গ্যাস, বৈদ্যুতিক লাইন এবং ফাইবার অপটিক কেবল সম্প্রসারণের ব্যবস্থা রয়েছে।
এই সেতুটি নির্মিত হলে দেশের জিডিপি ১.২ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।[৯]
সেতুটি তৈরির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড এর আওতাধীন চায়না মেজর ব্রীজ নামক একটি কোম্পানী। কাজ শুরু হয় ৭ ডিসেম্বর ২০১৪। এতে ব্যয় হচ্ছে ৩০ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা৷[১১]
জুলাই ২০১৯ সালে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজে মানুষের মাথা লাগবে বলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে গুজব ছড়ায়। এতে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে অপহরণকারী ধারণা করে অনেক মানসিক ভারসাম্যহীনকে মারধরে পুলিশে হস্তান্তর করার ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনাকে গুজব ও ভিত্তিহীন উল্লেখ করে ৯ জুলাই ২০১৯ তারিখে সেতু নির্মাণ কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমগুলোতে বিজ্ঞপ্তি পাঠায়। এক্ষেত্রে গবেষকরা সেতু কর্তুপক্ষকে সেতুটি নির্মাণে খুঁটিনাটি সকল তথ্য জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার পরামর্শ দেন। [১২][১৩]
মহসীন কবির : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ। ২০২১ সালে খুলে দেওয়া হবে যানবাহন চলাচলের জন্য। বৃহস্পতিবার দুদুরে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান। খবর যমুনা টিভি সম্পাদনা : রাশিদ ও মহসীন
The construction work of the Padma Bridge will be completed within the next year, Road Transport and Bridges Minister Obaidul Quader said today. "Prime Minister Sheikh Hasina will inaugurate it in June 2021," he told reporters at the Secretariat.
২০২১ সালের ৩০ জুনের আগেই পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এ পর্যন্ত মূল সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৭৩ শতাংশ। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে...
২০২১ সালের জুনের মধ্যে যান চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের ঋণ পরিশোধের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২০২১ সালের জুনের মধ্যে যান চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করবেন।
পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষকে ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে সরকার। এ ঋণ ৩৫ বছরে শোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকালে সচিবালয়ে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পে সরকার প্রদত্ত ঋণ বাস্তবায়নের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় ও সেতু কর্তৃপক্ষের...
The construction work of the Padma Bridge will be completed within the next year, Road Transport and Bridges Minister Obaidul Quader said Thursday. “Prime Minister Sheikh Hasina will inaugurate it in...
আগামী বছরের মধ্যে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন। এরপর সেখানে যান চলাচল শুরু হবে।’ আজ...
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২০২১ সালের জুনের মধ্যেই পদ্মাসেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল করবে । তিনি বলেন, ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ হবে। তবে ফিনিশিংসহ অন্যান্য কার্যসম্পাদন করতে আরও ৫-৬ মাস সময় লাগবে। আশা করছি ২০২১ সালের জুনের মধ্যেই পদ্মাসেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু করবে।’
Comments