BUET! ABRAR: ভারত বিরোধিতার শাস্তি



কেমন ছিল আইয়ামে জাহেলিয়া? কেমন এখন আওয়ামী জাহেলিয়া? বুয়েটের ঘটনা ত শুধু একটি নয়, বিচারহীনতা আর কাউকে সন্দেহে করেই পিটিয়ে মেরে ফেলার এক নতুন যুগ শুরু হয়েছে।সাংবাদিক মনির হায়দারের সাথে বাংলাদেশ আড্ডা। সাহেদ আলম।
বুয়েটে আবুল হায়াতের হৃদয়স্পর্শী বক্তব্য | কেঁদেছেন কাঁদিয়েছেন | Abul Hayat
Bangla Infotube is a multi-dimensional platform to educate, entertain, inform and persuade people of changes. We also focus on the lives and achievements of million Non Resident Bangladeshis (NRB) people. Write to us about how we can focus your works and achievements. Be a part of the journey. Be a changemaker.




আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল বুয়েট ক্যাম্পাস। ফাহাদের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সকাল থেকেই বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা। পরে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হবে।


কোন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে কেটে পড়লেন বুয়েটের ভিসি |


এবার ১০ দাবিতে অনড় বুয়েট শিক্ষার্থীরা | BUET


ও নাটক করতাছে’









আবরার ফাহাদকে যে রাতে হত্যা করা হয়, সেই রাতের কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত বুয়েটের এক শিক্ষার্থী। বুয়েট, ঢাকা, ৯ অক্টোবর। ছবি: আবদুস সালামআবরার ফাহাদকে যে রাতে হত্যা করা হয়, সেই রাতের কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত বুয়েটের এক শিক্ষার্থী। বুয়েট, ঢাকা, ৯ অক্টোবর। ছবি: আবদুস সালামআবরারের মতোই বুয়েটের শেরেবাংলা হলে থাকেন আরাফাত ও মহিউদ্দিন। বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পিটিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে যাওয়ার পর মহিউদ্দিন তাঁকে দেখেন কাতরানো অবস্থায়। আর আরাফাত যখন আবরারকে দেখেন, তখন তাঁর পুরো শরীর ঠান্ডা হয়ে গেছে। বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মীর নির্যাতনে নিহত আবরারের শেষ সময়ের প্রত্যক্ষদর্শী এই দুজন সেসব ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।
এর মধ্যে আরাফাত আফসোস করে বললেন, তিন-চার মিনিট আগে তিনি যদি সেখানে উপস্থিত হতে পারতেন, তাহলেও হয়তো আবরারকে বাঁচানো যেত।
মহিউদ্দিন বললেন, আবরারকে কাতরানো অবস্থায় দেখার সময় এক ছাত্রলীগ নেতা বলছিলেন, ‘ও নাটক করতাছে।’ এ রকম পরিস্থিতিতে তাঁকে বাঁচাতে না পারায় মহিউদ্দিনের এখন আফসোস হচ্ছে।
আজ বুধবার বেলা দেড়টার দিকে এই দুই ছাত্র বিক্ষোভে অংশ নিয়ে ওই ঘটনার বর্ণনা দেন। তখন ওই দুই ছাত্রসহ অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আরাফাত বলেন, পড়া শেষে রাতে নিচে খাবার আনতে বেরিয়েছিলেন তিনি। তখনই দেখেন তোশকের মধ্যে একজন পড়ে আছেন। তখনো তাঁর চিন্তায় আসেনি এ রকম হতে পারে। তার ধারণা হয়েছিল, হয়তো কেউ মাথা ঘুরে পড়ে গেছে।
আরাফাত বলেন, ‘খোদার কসম, এক সেকেন্ডের জন্যও মাথায় আসেনি এভাবে কাউকে মারা হতে পারে।’ তিনি বলছিলেন, যখন আবরারের হাত ধরেন, তখন হাত পুরো ঠান্ডা, পা ঠান্ডা। শার্ট-প্যান্ট ভেজা। তোশক ভেজা। মুখ থেকে ফেনা বের হয়েছে। তিনি বলছিলেন, ‘তখন ওকে বাঁচানোর জন্য বুকে চাপ দিই। হাতে চাপ দিই। আশপাশের সবাইকে বলি, কেউ একজন ডাক্তারকে ম্যানেজ কর। এরপর ডাক্তার আসল। ডাক্তার দেখে বলেন, ১৫ মিনিট আগেই সে (আবরার) মারা গেছে।’
আফসোস করে কাঁদতে কাঁদতে আরাফাত বলছিলেন, ‘তিন-চারটা মিনিট আগে যদি খাবার আনতে যাইতাম, তাহলে পোলাডারে বাঁচাইয়া রাখতে পারতাম। এই তিন মিনিটের আফসোসে তিন দিনে তিন ঘণ্টাও ঘুমাইতে পারি নাই।’
আরাফাত এ বক্তব্য দেওয়ার পরপরই মহিউদ্দিন বলছিলেন, ‘আরাফাতের তো তিন মিনিটের আফসোস আছে, আর আমার আছে অনুতাপ।’
আরাফাত ফেলে রাখার দৃশ্য দেখার বর্ণনা দিয়ে বলেন, তখন আড়াইটার মতো বাজে। তিনি খেতে বের হয়েছেন। তখন দেখেন আবরার কাতরাচ্ছেন। তখনো ছাত্রলীগ নেতা জিয়ন বলছিলেন, ‘ও (আবরার) নাটক করতাছে।’ নিষ্ঠুরতার এই বর্ণনা দিতে দিতে মহিউদ্দিন আবারও কেঁদে ফেলে বলেন, ‘আমি ওরে বাঁচাইতে পারিনি। মাফ করে দিস, ভাই। আমারে সবাই মাফ কইরা দিস। আমি জীবিত দেইখাও ওরে বাঁচাইতে পারি নাই।’


Comments