হোটেলে করতে গিয়ে ধরা || দেহ ব্যবসা || নিজ বাসায় দেহ ব্যবসা করি ||




আরো দেখুন বিস্তারিত



ঢাকার অধিকাংশ আবাসিক হোটেলে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা
ঢাকা, ২০ জুলাই- রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ আবাসিক হোটেলে দিনে-রাতে অবাধে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। প্রশাসনের নাকের ডগায় নারী দেহের পসরা সাজিয়ে অবাধে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালী একটি মহল। 
রাজধানীর মিরপুর,শেওড়াপাড়া আগারগাঁও,কারওয়ান বাজার, মহাখালী ও মগবাজার এলাকায় অসংখ্য আবাসিক হোটেলে চলছে দেহ ব্যবসা। বর্তমানে এ ব্যবসা মহাআকার ধারণ করেছে।  আর এসব চলছে প্রশাসনের সামনেই।


আরো দেখুন বিস্তারিত

গ্রামের সহজ সরল অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক মেয়েদের দেহ ব্যবসায় বাধ্য করানোর অভিযোগও মিলছে হরহামেশাই।  আবার কেউ কেউ নিজের ইচ্ছায় বেঁছে নিয়েছেন এই পেশা।  সাংবাদিকদের সামনে কথা বলতে রাজি নয় এসব হোটেল মালিকরা। এই দেহ ব্যবসায় জড়িয়ে পরা অসহায় নারীরা জানালেন তাদের জীবণের করুণ কাহিনী।  এদের অনেকেই অভাবের তাড়নায় এসেছেন এই পেশায়।  আবার অনেকে নিজের অজান্তেই জড়িয়ে পড়েছেন এসব অসামাজিক কাজে। 
রাজধানীতে প্রায় প্রতিটি থানা এলাকায় ১০১৫ টির মতো আবাসিক হোটেল আছে।  প্রশাসনের চোখের সামনেই চলছে এ ব্যবসা।  যৌন কর্মীর এক দালাল বিডি২৪লাইভকে জানান,এসব হোটেল থেকে প্রতিমাসে থানা পুলিশ পাচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। শুধু থানা পুলিশ না আরও বড় বড় লোক ও সাপ্তাহিক, মাসিক চাঁদা নেয় বলে তিনি জানান। 
এ বিষয়ে মিরপুর মডেল থানার ওসি নজরুল ইসলাম এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে সে ফোন রিসিভ করেনি।

পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আবাসিক হোটেল মালিকরা মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় করে থাকেন যার কারণে তারা রমরমা ভাবে এ ব্যবসা করে যাচ্ছেন। 
স্থানীয়দের অভিযোগ প্রশাসনের সামনেই এইসব চললেও প্রশাসন কিছু করছে না।  মাঝে মধ্যে লোক দেখানো দু’একটি অভিযান চালায় উচ্ছেদ করার জন্য মুলত অভিযান চালায় না।
রেশমা (ছদ্মনাম) এক যৌনকর্মী জানায়, আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার ও বয়-বেয়ারারা এক জন খদ্দেরের কাজ থেকে যে টাকা নেয় তার ৫০ ভাগ তাদের দেয়।  বাকি টাকা হোটেল রুম ভাড়া ও তারা ভাগ করে নেয়।  অনেক পেশাদার যৌনকর্মী অবশ্য নিজেরাই কার্ড বিলি করে।  এসব কার্ডে সাধারণত মধ্যস্থতাকারীর মোবাইল নম্বর থাকে।  পার্ক, ওভারব্রিজ এলাকায় তাদের তৎপরতা বেশি।


আরো দেখুন বিস্তারিত

শাহজাহান আলী না‌মের এক খ‌দ্দের জানায়, ৮ শত ট‌াকা দি‌য়ে একজ‌নের কা‌ছে গে‌ছি।  সে যৌন কর্মী বক‌শিস ছাড়া তার শ‌রীরে হাত দি‌তে দেয় না ।  এ ব্যবসা আস‌লে মানুষকে লু‌টেপু‌টে খাওয়ার ব্যবস্থা ছাড়া আর কিছুই না । 
দেখা যায়, রাজধানীর আবাসিক হোটেলের সামনে প্রতিদিন অবস্থান করে দালাল চক্র।  টার্গেট করা পথচারীকে তারা ডাকে মামা বলে।  কাছে এলেই ধরিয়ে দেয় ভিজিটিং কার্ড। 
এক হোটেল বয় নাম না বলা শর্তে বলেন, এক জন খদ্দের যোগার করে দিলে আমাদের কে ২০ টাকা দেয় হোটেল কর্মচারী হিসাবে তো মাসিক বেতন আছেই। এছাড়া একজন খদ্দেরকে ভিতরে নিয়ে আসা আবার নিরাপদে তাদের রাস্তায় পৌঁছে দেওয়া ও তাদের দায়িত্ব। 


আবাসিক হোটেলে ফের রমরমা দেহ ব্যবসা! 
বরিশাল আবাসিক হোটেলের দেহ ব্যবসায়ি কিছু নারীর ছবি


বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের তৎকালীন কমিশনার এসএম রুহুল আমিনের নানামুখী তৎপরতায় আবাসিক হোটেলগুলোতে পতিতাবৃত্তি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হলেও এই কর্মকর্তার বদলির পরে ফের শুরু হয়ে গেছে পতিতাবৃত্তি। এখন প্রতিনিয়ত হোটেলগুলোতে রমরমা দেহব্যবসার খবর শোনা যাচ্ছে। গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে তৎকালীন কমিশনারের বদলি কার্যকর হওয়ার কয়েকদিনের মাথায় বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) আসাদুজ্জামানের সাথে হোটেল মালিকদের সমঝোতা হয়েছে। মুলত এরপর থেকেই বেশ কয়েকটি হোটেলে পুরোদমে শুরু হয় দেহব্যবসা।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, তৎকালীন পুলিশ কমিশনার এসএম রুহুল আমিনের বদলি হওয়ায় আবাসিক হোটেল পাড়ায় উল্লাস দেখা যায়। আর এ কারণেই একাধিক অসাধু হোটেল মালিকরা অনেকটা প্রকাশ্যেই শুরু করে দিয়েছে দেহব্যবসা। বিশেষ করে নগরীর দক্ষিণ চকবাজার এলাকার হোটেল গালিব, পাতারহাট, পোর্টরোড এলাকার আবসিক হোটেল জোনাকি ও চিল, মহসিন মার্কেট লাগোয়া হোটেল কীর্তনখোলাসহ বেশ কয়েকটি হোটেলেই চলছে হরদমে দেহব্যবসা। পাশাপশি এইসব হোটেলে গভীর রাতে মাদক বাণিজ্যের অভিযোগও রয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ বা ডিবি পুলিশ সেখানে হানা দিলেও কয়েকেদিনের মধ্যে মাদক উদ্ধার বা অনৈতিক বাণিজ্যে জড়িতদের গ্রেফতারের উদাহরণ কম রয়েছে। এমতঅবস্থায় সূত্রের খবর হচ্ছে, গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে ওসির বদলির পরে বরিশাল কোতয়ালি থানার চলতি দায়িত্বে থাকা ওসি (তদন্ত) আসাদুজ্জামানের সাথে শহরের বেশকয়েটি হোটেল মালিক সাক্ষাত করেন। কিন্তু সেখানে কি আলোচনা হয়েছে সেই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এর পরপরই বেশ কয়েকটি হোটেলে দেহব্যবসার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে কোন গ্রীন সিগনাল এসেছে কিনা সে বিষয়টিও খোলসা করছেনা মালিকরা। অবশ্য একাধিক হোটেল মালিকের সাথে আলাপচারিতায় আভাস পাওয়া গেছে ওসি (তদন্ত) আসাদুজ্জামানের মধ্যস্ততাই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলামের সাথে সমঝোতা হয়েছে। কিন্তু এই বিষয়টি পুরোই গোপন রাখা হচ্ছে। নাম না প্রকাশ শর্তে একটি আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার জানিয়েছেন, তৎকালীন ওসির বদলির পরে পাতাহাট ও গালিব হোটেলের মালিক মনির তাদের মালিককেও প্রস্তাব দিয়েছিলেন ওসি আসাদের সাথে সমঝোতায় যেতে আলোচনায় বসার। কিন্তু অসামাজিক কার্যকলাপে তাদের সমর্থন নেই সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছিল। যদ্দুর জানা গেছে, এর পরপরই চলতি মাসের শুরুতে পতিতা বাণিজ্য ব্যাপক হারে শুরু হয়। সেক্ষেত্রে ধারণা করা হচ্ছে ওসি-তদন্ত আসাদই বিষয়টি সমঝোতায় নিয়ে এসেছেন এবং ওসি নুরুল ইসলামকেও ম্যানেজ করা হয়েছে। এনিয়ে পুলিশের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদে মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা বলছে, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যদি চুপ থাকতে বলে তাহলে আমাদের কি করার থাকে। অপর একটি সূত্রের জোরালো দাবি, মাস অন্তর থানা পুলিশকে প্রতিটি হোটেল থেকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার সন্ধি চুক্তি হয়। এছাড়াও থানা পুলিশের অপরাপর কর্মকর্তাদের প্রতিনিয়তই নির্ধারিত অর্থ নেয়ারও সুযোগ থাকছে। এই পুরো সমঝোতায় হোটেল মালিকদের পক্ষে ছিলেন পাতারহাট ও গালিবের হোটেল মালিক মনির হোসেন। তবে এসকল অভিযোগ অস্বীকার করে ওসি নুরুল ইসলাম ও তদন্ত ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের সাথে হোটেল মালিকদের সাথে কোন ধরনের বৈঠক হয়নি। প্রকাশ্যে দেহব্যবসা চলতে দেখা গেলেও দুই কর্মকর্তাই বলছেন, আবাসিক হোটেলে যদি দেহব্যবসা চলে থাকে তাহলে অবশ্যই ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করা হবে। যদিও ওসি নুরুল ইসলাম বলছেন, প্রতিনিয়তই আবাসিক হোটেলে অভিযান দেয়া হচ্ছে। তার যোগদান করার পরে কোন আটক আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, না আমি যোগদান করার পরে কোন আটক নেই। তবে অভিযান চলছে। আর তদন্ত ওসি বলছেন, প্রত্যেক এসআই এএসআইদের কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে দেহব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করার বিষয়ে।

আরো দেখুন বিস্তারিত




আবাসিক হোটেলের অন্তরালে চলে রমরমা দেহ ব্যবসা
আবাসিক হোটেলের অন্তরালে চলে রমরমা দেহ ব্যবসা
রাজধানীতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসেন, যারা মূলত সাময়িক কোন দরকার মেটানো, আইনী ঝামেলা বা বিদেশ পাড়ি দিতে আসেন। এসেই তারা আশ্রয়ের জন্য দ্বারস্থ হন আবাসিক হোটেলগুলোতে।কিন্তু এখানে মূলত সমস্যার শুরু। কারণ প্রায়ই এসব আবাসিক হোটেলে ঘটছে খুন, ধর্ষণসহ নানা অপরাধ। এর বাইরে দেহব্যবসা তো রয়েছেই।

জানা গেছে, রাজধানীর অধিকাংশ হোটেলে চলে দেহ ব্যবসা। কারণ রুম ভাড়া উসুল করতে হলে এ ব্যবসা রাখতেই হয়। আর যেসব হোটেলগুলোর মান নিম্ন তাদের চলেতে হয় এরই উপর নির্ভর করে। হোটেল ব্যবসার ক্ষেত্রে অধিকাংশ মালিক ডিএমপি’র নির্দেশিত নিয়মগুলো যথাযথ অনুসরণ করে না। এ সুযোগে এসব আবাসিক হোটেল দুর্বৃত্তদের নানা অপকর্ম সংঘটনের অভয়ারণ্য হয়ে উঠছে।রাজধানীতে আবাসিক হোটেলকেন্দ্রিক নানা অঘটন বেশ কয়েক বছর ধরে ঘটে আসছে। গত পাঁচ বছরে এসব আবাসিক হোটেলে অন্তত শতাধিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে চলতি বছরেই উদ্ধার করা হয়েছে ১৫টি লাশ।
এছাড়া অসামাজিক কার্যকলাপ, প্রতারণামূলক নানা কর্মকাণ্ড, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও জুয়ার আসরসহ বিভিন্ন রকম অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ তো রয়েছেই।
এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের তদারকি কাজে উদাসীনতা, হোটেল মালিকদের গাফিলতি ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে বর্ডারদের অসচেতনতাও পরিস্থিতিকে নাজুক করে তুলছে।
জানা গেছে, কিছু কিছু আবাসিক হোটেলের মালিক ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে বাড়তি লাভের আশায় হোটেল অভ্যন্তরে অসামাজিক কার্যকলাপ, প্রতারণামূলক নানা কর্মকাণ্ড, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও জুয়ার আসরের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকারও অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, এসব হোটেলে ভাড়া রুম মেলে ৭০০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকা। আর বিশ্বস্ত বা পরিচিত হলে ভাড়া কমে রাখা হয়। আর সেখানে মূলত স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা অভিসারে যান।
রাজধানীর গাবতলী মিরপুর;শ্যমলী,এলাকার অধিকাংশ হোটেলে রমরমা দেহ ব্যবসা চলছে।রাজধানীর এসব হোটেলের বেশিরভাগের লাইসেন্স বা অনুমোদনও নেই। মগবাজারের একটি হোটেলের ব্যবস্থাপক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তার হোটেলের লাইসেন্স আছে কি-না এ ব্যাপারে তিনি অবগত নন। বিষয়টি মালিকের ওপর ছেড়ে দেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, ''বেশিরভাগ আবাসিক হোটেলেই সিসিটিভি ক্যামেরা ও বর্ডারদের ছবি তুলে রাখার ব্যবস্থা নেই। এছাড়া নিয়মিত চাঁদা দিয়েই হোটেল ব্যবসা চালাতে হয়। তাই আর বাড়তি ঝামেলা করে লাভ কী। মূল বিষয় হলো থানা পুলিশকে ম্যানেজ করতে পারা। তাহলে আর সমস্যা নাই।
এসব বিষয়ে , প্রায় ছয় মাস আগে হোটেল মালিকদের ডেকে সভা করেছেন। বর্ডারদের নাম-পরিচয়ের তথ্য থানায় প্রতিদিন জমা দেয়া এবং সিসি ক্যামেরা লাগানোর বিষয়ে সভায় গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিদিনি রাত ১২টার মধ্যে আবাসিক হোটেলগুলোর বর্ডারদের নামের তালিকা পরিচয়সহ থানায় জমা দেয়ার বাধ্যতামূলক। কিন্তু এটি হোটেল মালিকরা মানছেন না।


অসামাজিক কাজে হোটেল গুলোতে বেশি বিবাহিত নারীরা





স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা নিউজ২৪.কম: সকাল ১১টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত রাজধানীর গুলিস্তান, সদরঘাট, নবাবপুর, ফকিরাপুল এলাকার কিছু কিছু আবাসকি হোটেল ঘুরে দেখা যায় দেহ ব্যবসার রমরমা চিত্র, হোটেলের প্রবেশ পথে টুলে বসে দু’জন হোটেল কর্মচারী ইশারায় ই্ংগিতে ডাকে আবাসিক হোটেল কর্মচারীরা । হোটেলে অবস্থানকারী উঠতি বয়সের বিপদঘামী মেয়ে ও বিবাহিত ভাবিরা স্বামীকে ফাকি দিয়ে তাদের চাকরী কর্মব্যস্ততার সুযোগে অথবা সন্তানকে স্কুলে রেখে সুযোগে তারা নিজেকে অন্ধকার জগতে পা বাড়াতে দ্বিধাবোধ করেনা, বারতি আয়ের লোভে  আবাসিক হোটেলে দিনের বেলা ভীর জমাচ্ছে সবচেয়ে বেশী বিবাহিত নারীরা একাদিক হোটেল কর্মচারিরা যানান। আবার স্বামীর অজান্তে জৈালুষ জীবন যাপনের শেষ পরিনতি তালাক ও পারিবারিক হানাহানী , তাদের খদ্দের জোগাতে সর্বক্ষণিক ব্যস্ত ঢাকার আবাসিক হোটেলগুলো কর্মচারিরা ।
পথচারীদের কাউকে আকার-ইঙ্গিতে, কাউকে আবার সরাসরি প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে। অনেকেই বিব্রত হচ্ছেন , যেন এই কর্মচারীদের এবং হোটেলের ভেতরে অবস্থানকারী পতিতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা বদ্ধপরিকর। গুলিস্তানের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, রাত-দিন ২৪ ঘণ্টায়ই গুলিস্তান, সদরঘাট, ফকিরাপুল, খোদ পল্টন এলাকার বেশ কয়েকটি হোটেলে ক্যাডারদের ছত্রছায়ায় দেহ ব্যবসা চলে । রাজধানীর অনেক এলাকায় একই রকম চিত্র দেখা যাবে। বিনা পুঁজিতে অধিক লাভ হওয়ায় পুরো রাজধানীতেই অসাধু হোটেল ব্যবসায়ীরা পতিতা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।
বেশ কয়েকটি মধ্য ও নিম্নমানের হোটেলে দেহব্যবসা চলে অনেকটাই প্রকাশ্যে। সাধারণত এসব হোটেলে খদ্দের হিসেবে আসে মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ। ২৪ ঘণ্টায়ই চলে এ ব্যবসা। যে কেউ যে কোন সময় এসব হোটেলের সামনে দিয়ে হাঁটলেই খুব সহজেই বিষয়টি অাঁচ করতে পারবেন, অনেকে খদ্দের হিসেবে আমন্ত্রণের ভাষা শুনে মাথা নিচু করে চলে যান। স্থানীয় ব্যাবসায়ীদের অভিযোগ, পুলিশকে ম্যানেজ করেই হোটেল ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। পুলিশ মাঝে-মধ্যে অভিযান চালায় মূলত খদ্দেরদের ব্লেইকমেইল করে তাদের সবকিছু হাতিয়ে নিতে। হোটেল মালিক বা কর্মচারীরা মাসোহারার মাধ্যমে সমঝোতার ভিত্তিতে বহালতবিয়তে থাকে।

আরো দেখুন বিস্তারিত
একাধিক সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগরীর প্রায় সব এলাকায়ই দেহ ব্যবসা জমজমাট। কাকরাইল, ফকিরাপুল, যাত্রাবাড়ী, পুরানা পল্টন, কাওরানবাজার, ফার্মগেট, মহাখালী, বাড্ডা, মিরপুর, গাবতলী, পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় এ ব্যবসা চলে পুলিশকে ম্যানেজ করেই। তবে দুই হোটেল মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নামীদামী হোটেলগুলোতে বিভিন্ন কৌশলে দেহ ব্যবসা চললেও সেটা কারও নজরে পড়ে না। নিম্ন আয়ের মানুষদের যৌন চাহিদা মেটাতেই মাঝে মধ্যে হোটেলে পতিতা রাখা হয়। এটা তেমন দোষের কিছু নয় বলে দাবি করেন তারা। পুলিশকে ম্যানেজ করার বিষয়টিও তারা স্বীকার করেন। তবে দায়িত্বশীল একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, রাজধানীর সব থানায় তো আবাসিক হোটেল নেই। যেসব থানায় হোটেল আছে, পুলিশ সেখানে নিয়মিতই অভিযান চালায়। অসামাজিক কার্যক্রম বন্ধে পুলিশের জোরাল তৎপরতা আছে বলে দাবি করেন তিনি। 



Comments