নিন্দা জানানোর ভাষা নেই বলিউডের


ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তোলা এই সেলফির অনেকেই সরব হয়েছেন নাগরিকত্ব আইনের বিপক্ষে।ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তোলা এই সেলফির অনেকেই সরব হয়েছেন নাগরিকত্ব আইনের বিপক্ষে।ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ২০১৯ সালের ১০ জানুয়ারি তোলা এক সেলফিতে ছিলেন আয়ুষ্মান খুরানা, রাজকুমার রাও, বরুণ ধাওয়ান, ভিকি কৌশল, ভূমি পেড়নেকরসহ আরও অনেকে। সেই বলিউড তারকারাই আজ ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারে।
সায়ানী গুপ্তসায়ানী গুপ্তসায়ানী গুপ্তা
‘আর্টিকেল ফিফটিন’খ্যাত তারকা সায়ানী গুপ্তা নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তোলা তারকাদের ছবিটি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘জামিয়া ও আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর নরেন্দ্র মোদি সরকারের পুলিশি আক্রমণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার সময় এসেছে।’ এই টুইটটি তিনি রণবীর সিং, করণ জোহর, আয়ুষ্মান খুরানা ও রাজকুমার রাওকে ট্যাগ করেছেন।
রাজকুমার রাওরাজকুমার রাওরাজকুমার রাও
‘নিউটন’, ‘ট্র্যাপড’, 'জাজমেন্টাল হ্যায় কেয়া’খ্যাত এই বলিউড তারকা লিখেছেন, ‘পুলিশ ছাত্রদের সঙ্গে যা করল, আমি তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। একটা গণতান্ত্রিক দেশে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানানো নাগরিকদের অধিকার। আমি রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করারও নিন্দা জানাই। সহিংসতা কোনো কিছুর সমাধান নয়।’
আয়ুষ্মান খুরানাআয়ুষ্মান খুরানাআয়ুষ্মান খুরানা
সমাজসচেতন এই বলিউড অভিনেতা লিখেছেন, ‘গান্ধীর দেশে সহিংসতা চাই না। অহিংসাই সবকিছুর চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ হওয়া উচিত। প্রতিবাদ জানানো মানুষের মৌলিক অধিকার। আসুন, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস রাখি।’
ভিকি কৌশলভিকি কৌশলভিকি কৌশল 
‘রাজি’, ‘সঞ্জু’ ও ‘উরি: দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’খ্যাত অভিনেতা ভিকি কৌশল লিখেছেন, ‘যা ঘটছে, তা মোটেও ঠিক হচ্ছে না। প্রতিটি মানুষের শান্তিপূর্ণভাবে নিজের মতপ্রকাশের অধিকার আছে। এই সহিংসতায় আমি দুঃখিত, আমি ক্ষুব্ধ। তীব্র নিন্দা জানাই।’
সিদ্ধার্থ মালহোত্রাসিদ্ধার্থ মালহোত্রাসিদ্ধার্থ মালহোত্রা
এ অভিনেতা লিখেছেন, ‘ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশে এ ধরনের নৃশংস পুলিশি আক্রমণে আমি ক্ষুব্ধ। তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
ভূমি পেড়নেকরভূমি পেড়নেকরভূমি পেড়নেকর 
এ অভিনেত্রী টুইটারে লিখেছেন, ‘সহিংসতার ফল কখনো ভালো হয় না। মতপ্রকাশের অধিকার আমাদের মৌলিক অধিকার। যেভাবে শিক্ষার্থীদের প্রতিহত করা হলো, তা দেখে আমি স্তব্ধ হয়ে গেছি। নিন্দা জানানোর ভাষা নেই।’
বরুণ ধাওয়ানবরুণ ধাওয়ানবরুণ ধাওয়ান 
বরুণ ধাওয়ান একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেই ছবিতে দেখা গেছে, হিন্দু, মুসলমান, শিখ ও খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী—সবার হাত একসঙ্গে ভারতকে ধরে আছে। এভাবেই বরুণ ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষ নিয়েছেন।
অক্ষয় কুমারঅক্ষয় কুমারঅক্ষয় কুমার 
জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার একটি পোস্টে লাইক দেওয়ায় অক্ষয় কুমারকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রলের ঝড় শুরু হয়েছিল। নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে অক্ষয় কুমার লেখেন, ‘টুইটারে স্ক্রল করতে করতে ভুলবশত সেখানে লাইক পড়ে যায়। যখনই আমি বুঝতে পেরেছি, সঙ্গে সঙ্গে আনলাইক করেছি। এ ধরনের কর্মকাণ্ড সমর্থন করার কোনো কারণ নেই। থাকতে পারে না।’
তিন খানের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন
টুইটারে অনেকেই শাহরুখ খান, আমির খান ও সালমান খানকে ট্যাগ করে শিক্ষার্থীদের ওপর অমানবিক হামলার বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলেছেন। শ্রীবাস্তব নামে একজন লিখেছেন, ‘শাহরুখ খান এখানকার প্রাক্তন শিক্ষার্থী। স্বাধীনতাসংগ্রাম যাঁরা করেছেন, সেই মওলানা আজাদের পরিবারের সদস্য আমির খান। সালমান খান বিয়িং হিউম্যানের উদ্যোক্তা। আর যখন আপনাদের কণ্ঠস্বর জরুরি হয়ে পড়ে, তখন কেন আপনারা কথা বলেন না? কিসের ভয় আপনাদের?’
আমান ওয়াদুদ নামের এক ব্যক্তি শাহরুখ খানকে ট্যাগ করে লিখেছেন, ‘আপনি তো জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। শিক্ষার্থীরা কী নৃশংসভাবে মার খেল। এত বড় একটা ঘটনায় আপনি কীভাবে চুপ আছেন? আপনি কি স্টকহোম সিনড্রোমে আক্রান্ত? আপনার সবচেয়ে বড় ভক্ত ছিলাম। আজ থেকে নিজেকে আর আপনার ভক্ত বলে দাবি করব না।’

বাংলাদেশ সফর দারুণ ছিল: সালমান খান



সালমান খানসালমান খানদেবারতি ভট্টাচার্য: এবার নবাগতা সাই মঞ্জরেকরের সঙ্গে রোমান্স করলেন। আবার তরুণ সালমানকে দেখা যাবে। কেমন লাগল?
সালমান খান: (স্মিত হেসে) দাবাং থ্রি ছবিতে দেখানো হয়েছে আমার অভিনীত ‘চুলবুল পান্ডে’ চরিত্রটি কোথা থেকে এসেছে। তাই একটা অতীত পরিভ্রমণের ব্যাপার আছে এই ছবিতে। চুলবুলের অতীতকে দেখাতে গিয়ে এই রোমান্স দেখানো হয়েছে।
দেবারতি: এখনো কলেজপড়ুয়ার চরিত্রে কি আপনি স্বচ্ছন্দ?
সালমান: কলেজপড়ুয়া হিসেবে আর নয়। তবে কলেজ থেকে পাস করে বেরিয়েছি, এমন চরিত্রে অভিনয় করতে পারি। আসলে আমি নিজেকে যে ধরনের চরিত্রে দেখতে পছন্দ করি, সে ধরনের চরিত্রেই আমি অভিনয় করি। আমার ভক্তরাও তা–ই চান।
দেবারতি: ‘দাবাং’–এর তৃতীয় ছবি আবার আনলেন। এমন সফল সিরিজের সিক্যুয়েল বানানো কি নিরাপদ বলে মনে করেন?
সালমান: দাবাং থ্রি সিক্যুয়েলের থেকে অনেক বেশি প্রিক্যুয়েল। বলা যায়, এটা একটা অন্য ছবি।
দেবারতি: ওয়ান্টেড ছবির পরিচালক ছিলেন প্রভু দেবা। ১০ বছর পর আবার তাঁর পরিচালনায় কাজ করলেন। কতটা বদলেছেন তিনি?
সালমান: কোনো বদল পাইনি। তিনি একই রকম আছেন। একই রকম নাচ করেন। পরিচালক হিসেবেও তাঁর মধ্যে কোনো বদল আসেনি। আজও একই রকমভাবে ‘ইয়েস স্যার’ এবং ‘নো স্যার’-এর বাইরে কিছু বলেন না। শটের আগে নিজে অভিনয় করে দেখান। আর শটের পর বলেন, ‘ওয়ান মোর শট প্লিজ।’ প্রভু স্যারকে সন্তুষ্ট করা মুশকিল।
দেবারতি: পরিচালকের কতটা বাধ্য আপনি?
সালমান: এটা নির্ভর করে পরিচালকের ওপর। কিছু পরিচালকের বাধ্য নিশ্চয়। তবে আমি নাম নিতে পারব না।
দেবারতি: নবাগত সাইকে এই ছবিতে নেওয়ার কারণ কী?
সালমান: চরিত্রের জন্য সাইকে প্রয়োজন ছিল। সাইকে আমি ওর ছোটবেলা থেকে দেখছি। ছোট থেকেই অভিনেত্রী হওয়ার সব গুণ ওর মধ্যে ছিল। আমি জানতাম বড় হয়ে ও নায়িকাই হবে। আর সাই নায়িকা না হলে ইন্ডাস্ট্রিও একজন ভালো অভিনেত্রী পেত না।
দেবারতি: হিন্দি ছবির আইটেম গানের বিরুদ্ধে এখন অনেকেই সরব। অনেকের বক্তব্য, এই ধরনের গান সমাজে বিপদ ডেকে আনছে। দাবাং থ্রি ছবিতে আইটেম গান ‘মুন্না বদনাম হুই’ নিয়ে আপনি কী বলতে চান?
সালমান: ‘আইটেম’ শব্দটি আমরা কখনোই দিইনি। এই ধরনের শব্দের প্রয়োগ মিডিয়াই করেছে। আমরা কখনোই মেয়েদের ‘আইটেম’ হিসেবে দেখাতে চাইনি। আর এই ‘আইটেম’ শব্দটির অপব্যবহার আমরা কেন করি? আমি আমার ছবির সংলাপ থেকে শুরু করে সব বিষয়ে যথেষ্ট সতর্ক থাকি। তা সত্ত্বেও বিতর্কে জড়িয়ে পড়ি।
দেবারতি: বিনোদ খান্নাকে এই ছবিতে কতটা মিস করবেন?
সালমান: বিনোদ খান্না আমাকে খুব ভালোবাসতেন। শুধু দাবাং ছবিতে নয়, আমি তাঁকে এমনিতেই মিস করি। তাঁর ভাই প্রমোদ খান্না দাবাং থ্রি-তে আছেন। বিনোদ স্যারের সঙ্গে তাঁর ভাইয়ের খুব মিল। এমনকি প্রমোদ স্যারকে অনেকে বিনোদ স্যার বলে ভুল করতে পারেন। পিকের (প্রমোদ খান্না) সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা দারুণ।
দেবারতি: শুনেছি এই ছবিতে মারদাঙ্গা সব অ্যাকশন আছে। এর জন্য কি আলাদা কিছু করতে হয়েছে?
সালমান: এখনো অ্যাকশন আর রোমান্স ভালোই করতে পারি। এর জন্য আমাকে আলাদা কিছু করতে হয় না।
দেবারতি: বাবা সেলিম খানের মতামত আপনার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। দাবাং থ্রি নিয়ে তাঁর কী মন্তব্য?
সালমান: আমার মা–বাবা দুজনেই পুরো ছবিটা দেখেছেন। তাঁরা হলেন সেন্সর বোর্ড আর সুপ্রিম কোর্ট। তাঁরা আমার এই ছবিকে ছাড়পত্র দিয়েছেন। এরপর আর চিন্তা কীসের?
দেবারতি: দীর্ঘ ২৫ বছরের বেশি এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাটানোর পর আজও বক্স অফিস রিপোর্ট আপনাকে কতটা চিন্তিত করে?
সালমান: দাবাং থ্রির গল্প আমি লিখেছি। ভাগ্যই জানে যে বক্স অফিসের ফলাফল কী হবে। আর যা হবে তার খবর আপনারা পেয়ে যাবেন। সমালোচকদের ওপর আমার সম্পূর্ণ আস্থা আছে।
দেবারতি: ঈদ মানেই ভাইজানের ছবি। কিন্তু আগামী ঈদে তো আপনার রাধে ছবির সঙ্গে অক্ষয় কুমারের লক্ষ্মী বোম্ব মুক্তি পাচ্ছে।
সালমান: ঈদের দিন মানেই ভাইজানের ছবি—এর কোনো মানে নেই। আমি খুব খুশি যে একই দিনে দুটো ছবি মুক্তি পাচ্ছে। যেকোনো উৎসবেই যে কারোর ছবি মুক্তি পেতে পারে। আমি সবাইকে আহ্বান জানাতে চাই।
দেবারতি: তিন দশক ধরে বলিউডে শাসন করে আসছেন। এর রহস্য কী?
সালমান: আমি কখনো নিজেকে সুপারস্টার ভাবি না। সময় ভালো বলে আমার ছবি চলছে। এখন খুব পরিশ্রম করছি। তবে সময় খারাপ এলে এর থেকে ১০ গুণ বেশি পরিশ্রম করতে হবে। আগে সিনিয়রদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা ছিল। তখন ভাবতাম, খুবই কঠিন। আজ জুনিয়রদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছি। এখন ১০ গুণ বেশি কঠিন চ্যালেঞ্জ।
দেবারতি: শেষ প্রশ্ন, সম্প্রতি বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশে গিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও আপনার সাক্ষাৎ হয়েছিল। কী রকম অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরলেন?
সালমান: অসম্ভব সুন্দর অভিজ্ঞতা। বাংলাদেশ সফর দারুণ ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত বিনয়ী, মহান এবং অসম্ভব ব্যক্তিত্বময়ী। আর সব থেকে বড় কথা, তিনি শুধু আমাদের নয়, সবাইকেই সম্মান দিয়ে কথা বলেন। তিনি সবার সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যবহার আমাকে মুগ্ধ করেছে। তিনি একজন সংস্কৃতিমনস্ক ব্যক্তি।



সোনাক্ষী সিনহাসোনাক্ষী সিনহাঘণ্টা দুয়েক অপেক্ষার পর অবশেষে ডাক পড়ল। মেহেবুব স্টুডিওতে সোনাক্ষী সিনহার ব্যক্তিগত ভ্যানিটি ভ্যানে বসেছিল এই আড্ডা। সাদা বিশালায়তন ভ্যানে পা রাখতেই দেখা গেল ‘দাবাং গার্ল’-এর ২০ থেকে ২৫ জোড়া রংবেরঙের হাই হিল জুতা। একটি টেবিলে ছড়ানো শুধু নানা ধরনের কানের দুল। হ্যাংগারে ঝুলছে রংবাহারি পোশাক। এত আয়োজন, নিশ্চয় সাজতে ভালোবাসেন, সঙ্গে সঙ্গে একগাল হেসে সোনাক্ষী বলেন, ‘আরে না না। আমি সাধারণভাবে থাকতেই ভালোবাসি। এখন প্রচারণার জন্য মুহূর্তে মুহূর্তে কানের দুল, পোশাক, জুতা সব বদলাতে হচ্ছে। তাই এখন এগুলো সব সময়ের সঙ্গী।’ এরপর হাত বাড়িয়ে কাছে টেনে নিয়ে বললেন, ‘এ বছর ঘন ঘন দেখা হচ্ছে আমাদের।’

২০ ডিসেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে দাবাং থ্রি ছবি। ৯ বছর আগে দাবাং ছবি দিয়েই বলিউডে পা রেখেছিলেন সোনাক্ষী সিনহা। অভিষেক ছবিতেই সালমান খানের নায়িকা তিনি। দাবাং ছবির প্রথম দিনের শট, আর আজকের সোনাক্ষীর মধ্যে কতটা বদল এসেছে? জবাবে সোনাক্ষী বললেন, ‘আমি যখন ছোট ছিলাম, বাবার সঙ্গে শুটে যেতে চাইতাম না। আমার খুব বিরক্ত লাগত। একই দৃশ্য বারবার হতো বলে বিরক্ত হতাম। কিন্তু অভিনেত্রী হিসেবে যখন সেটে পা রাখলাম, তখন অন্য ব্যাপার। বারবার টেক দিয়েও বোর হতাম না। জীবনের প্রথম শট থেকে আমি আমার কাজটাকে উপভোগ করেছি।’ প্রায় ১০ বছরের এই ফিল্মি সফরে ব্যক্তি সোনাক্ষীর মধ্যে কতটা বদল এসেছে? বলিউডের ‘দাবাং গার্ল’ বলেন, ‘আমার মধ্যে খুব একটা বদল এসেছে বলে মনে হয় না। তবে একজন অভিনেত্রী হিসেবে আমি অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়েছি। দাবাং আমার প্রথম ছবি। আর দাবাং থ্রি ২৫তম ছবি। সবার ভালোবাসা ও প্রশংসা আমাকে এই পর্যন্ত আসতে সাহায্য করেছে। তবে সবার আগে নিজেকে ভালোবাসতে হয়। নিজেকে না ভালোবাসলে অন্য কারও ভালোবাসা আপনি পাবেন না।’ 
এ বছর সোনাক্ষী অভিনীত চারটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। বছরের শেষভাগে দাঁড়িয়ে নিজের কাজের মূল্যায়ন করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বছরটা দুর্দান্ত গেছে। গত বছরের ডিসেম্বরে আমি শেষ ছুটি কাটাতে গিয়েছিলাম। এরপর শুধুই কাজ করে গেছি। দাবাং থ্রি মুক্তির পর আমি একটা ছুটিতে যাব। আগামী বছর ভুজ মুক্তি পাবে। আরও ভালো ভালো ছবির প্রতীক্ষায় আছি।’ 
সালমান খানের হাত ধরে এই ‘দাবাংকন্যা’র বলিউডে আসা। অভিনয়জীবনের ২৫তম ছবিতেও তাঁর নায়ক সালমান। দীর্ঘ এই সময়ে সালমানের সঙ্গে সোনাক্ষীর সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে জানার আগ্রহ হয়। তখন সোনাক্ষী বলেন, ‘আমার বয়স যখন ১৬ বছর, তখন থেকে সালমানকে চিনি। সালমান আমাদের পারিবারিক বন্ধু। আমি মনে করি, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সম্পর্ক এখন অনেক বেশি শক্তপোক্ত এবং দৃঢ় হয়েছে।’ 
সোনাক্ষীর আক্ষেপ, বাবা শত্রুঘ্ন সিনহার সঙ্গে একটিও ছবি করা হয়নি তাঁর। বাবার সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছেন এই বলিউড অভিনেত্রী। বাবার পথ ধরে অভিনয়ের জগতে এসেছেন সোনাক্ষী। এবার কি বাবার পথ ধরে রাজনীতির দুনিয়াতেও পা রাখবেন? প্রশ্নটা করতেই সঙ্গে সঙ্গে ঘাড় নাড়লেন সোনা (সোনাক্ষীর ডাক নাম)। বললেন, ‘রাজনীতিতে আমার কোনো আগ্রহ নেই। আমার অভিনয়ে আসা নিয়ে অনেকে স্বজনপ্রীতি বলে আওয়াজ তুলেছে। এরপর রাজনীতিতে এলে যে কী বলবে কে জানে (সজোরে হেসে)!’ 



শ্রদ্ধা কাপুর ছবি: ইনস্টাগ্রামশ্রদ্ধা কাপুর ছবি: ইনস্টাগ্রামসম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে এবিসিডি—এনি বডি ক্যান ডান্স সিরিজের তৃতীয় ছবি স্ট্রিট ডান্সার থ্রিডি ছবির ট্রেলার। ট্রেলার প্রকাশের পরই ছবির অভিনয়শিল্পী শ্রদ্ধা কাপুর প্রশংসা পাচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কিন্তু শ্রদ্ধার কিছুটা মন খারাপ। কারণ, এই ছবির জন্য প্রথমে প্রস্তাব দেওয়া হয়নি তাঁকে। প্রথম প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল আরেক অভিনয়শিল্পী ক্যাটরিনা কাইফকে।
এবিসিডি সিরিজের দ্বিতীয় ছবি এবিসিডি টুতে শ্রদ্ধা নিজেকে প্রমাণ করেছেন। কিন্তু তৃতীয় কিস্তিতে তাঁকে প্রথমবার অভিনয়ের প্রস্তাব না করায় শ্রদ্ধা অভিমান করেন। এই খবর সম্প্রতি জানান ছবির আরেক অভিনয়শিল্পী বরুণ ধাওয়ান। বরুণ বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে শ্রদ্ধা আমাকে বলেন, “আমি খুব অভিমান করেছি রেমো স্যার ও তোমার সঙ্গে। তোমরা কেউ আমাকে প্রথমবার এই ছবির জন্য প্রস্তাব করোনি।” শ্রদ্ধা আসলে ছবিটি নিয়ে খুবই ইমোশনাল ছিল। কিন্তু আমি ভেবেছিলাম এটা ওর ভাগ্য।’
ছবির পরিচালক রেমো ডি সুজার ছবির তৃতীয় কিস্তির জন্য পছন্দ ছিল ক্যাটরিনা কাইফ। কিন্তু ক্যাটরিনার অন্য ছবির শুটিং থাকায় ছবিটি করতে পারেননি। ফের শ্রদ্ধার ওপরেই ভরসা করতে হয়েছে পরিচালককে। আর ভরসার মানও রেখেছেন শ্রদ্ধা। এবার আরেকটি অসাধারণ নাচের ছবি পেতে যাচ্ছেন বলিউড–ভক্তরা। বরুণ ও শ্রদ্ধা ছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন প্রভু দেবা ও নোরা ফতেহি। ছবিটি মুক্তি পাবে আগামী বছর ২৪ জানুয়ারি। হিন্দুস্তান টাইমস

Comments