জিভে জল আনা এমন নিরামিষ ফুলকপির কালিয়াতেই জমে যাক শীতের পাত!


জিভে জল আনা এমন নিরামিষ ফুলকপির কালিয়াতেই জমে যাক শীতের পাত!
শীতে যে সব সব্জি বাঙালির চিরকেলে পুরনো রান্নাগুলোকে আরও এক বার জালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পায়, তার মধ্যে অন্যতম ফুলকপি। ভাজা থেকে রোস্ট, সব রকমের রান্নাই সম্ভব এই মরসুমি সব্জি দিয়ে। নিরামিষ ও আমিষ, দুই উপায়েই এই সব্জি রান্না করা যায়। তাই পেঁয়াজের দাম আকাশ ছুঁলেও ফুলকপি রান্না করতে তাই বাধা নেই।

নিরামিষ পদ্ধতিতেও ফুলকপির কালিয়া হতে পারে আপনার পছন্দের খাবার। ভাত, রুটি বা পরোটা— যে কোনও রকম সঙ্গতেই এই পদ সহজেই জমে। সহজলভ্য কিছু উপাদানেই সেরে ফেলা যায় এই রান্না। সময়ও লাগে যৎসামান্য।
পেঁয়াজ-রসুন ছাড়া, শীতের আর এক মরসুমি সব্জি মটরশুঁটি দিয়ে বানিয়ে পেলুন এই পদ। রইল রেসিপির সন্ধান।
উপকরণ
গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
প্রণালী: ডুমো করে কেটে রাখা আলু, ফুলকপি ও মটরশুঁটি নুন মেশানো গরম জলে কিছু ক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। এ বার আলু ফুলকপির গায়ে হলুদ মাখিয়ে কড়াইয়ে তেল গরম করে লালচে করে ভেজে নিন। মটরশুঁটি একটু ভাপিয়ে রাখুন।
 ভেজে তুলে রাখার পর সেই তেলেই এলাচ, সাদা জিরে, গোটা গরম মশলা ও তেজপাতা ফোড়ন দিন। এ বার একটি পাত্রে অল্প গরম জলে লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদ, আদা বাটা, জিরে গুঁড়ো মিশিয়ে গুলে রেখে দিন। ফোড়ন দেওয়া তেলে এ বার যোগ করুন টম্যাটো পিউরি। এই সময় একটু নুন দিন।

 কিছু ক্ষণ কষার পর এ বার ওই গুলে রাখা মিশ্রণ এতে মেশান। অল্প কষুন। তেল ছেড়ে এলে যোগ করুন ভেজে রাখা আলু ও ফুলকপি। ভাপানো মটরশুঁটিও যোগ করুন।
মশলার সঙ্গে ভাল করে নাড়াচাড়া করুন মটরশুঁটি, ফুলকপি ও আলু। মজে এলে একটপ একটু করে গরম জল দিয়ে কষতে থাকুন। শেষে যতটা ঝোল রাখতে চান, সেই পরিমাণ জল দিন।
 তাইলে কয়েক চামচ কাঁচা দুধও মেশাতে পারেন এতে। এ বার চাপা দিয়ে ফুটতে দিন ফুলকপির কালিয়া। ঝোল ঘন হলে উপর থেকে আরও কিছুটা গরম মশলা যোগ করুন। মাখো মাখো হলে নামিয়ে নিন।

Comments