আর রেস্তরাঁয় কেন? ঢাকাই ভুনা চিংড়ির রেসিপি এতই সহজ যে বাড়িতেই রাঁধুন সহজে


আর রেস্তরাঁয় কেন? ঢাকাই ভুনা চিংড়ির রেসিপি এতই সহজ যে বাড়িতেই রাঁধুন সহজে
মাছে-ভাতে বাঙালির পাত সাজবে, অথচ তাতে চিংড়ির পদ থাকবে না, তা আবার হয় না কি! মাছ নয় এমন এক সুখাদ্যকে ‘মাছ’ বলে ডাকতে ভালইবাসে বাঙালি। তাই প্রিয় পদের তালিকায় অনায়াসে নিয়ে ফেলে ‘চিংড়ি মাছ’-এর নাম।
2captcha
পদ্মাপারের লোকজন যদি ইলিশ নিয়ে গর্ব করে তবে এ পার বাংলা সহাস্যে আস্তিন গোটায় চিংড়িকে হাতিয়ার করে। তবে চিংড়ি কেবল এ পার বাংলার ঘরানাতেই নয়,  ঢাকাই রান্নার ঘরানাতেও সমান জনপ্রিয়।
 সহজলভ্য কিছু উপাদান দিয়েই ঢাকাই ভুনা চিংড়ি বানিয়ে ফেলা সম্ভব। বাংলা খাবারের রেস্তরাঁগুলিতে যে পদ ঘন ঘন অর্ডার করা হয়, এ বার সেই রান্না করতে পারেন বাড়িতেই। রইল উপায়।
2captcha
উপকরণ:
বাগদা চিংড়ি: চারটি (মাঝারি আকারের)
সরষের তেল: ৪ টেবিল চামচ
হলুদগুঁড়ো: আধ চা চামচ
জিরেগুঁড়ো: আধ চা চামচ
ধনেগুঁড়ো: আধ চা চামচ
লঙ্কাগুঁড়ো: স্বাদ অনুযায়ী
পেঁয়াজবাটা: ২ টেবিল চামচ
আদাবাটা: এক টেবিলচামচ
রসুন বাটা: এক টেবিলচামচ
পোস্তবাটা: এক চা চামচ
ধনেপাতা কুচি: এক টেবিল চামচ
গরমমশলার গুঁড়ো: আধ চা চামচ
নুন: স্বাদ অনুযায়ী
কাঁচালঙ্কা: স্বাদ অনুযায়ী
2captcha
পদ্ধতি
কড়ায় তেল গরম করে তাতে হেডলেস করে রাখা চিংড়ি ছেড়ে ভাল করে সাঁতলে নিন। অনেকেই চিংড়ির কোসা ছাড়ান না রান্নার সময়। তবে খোসা ছাড়ালে মশলা সরাসরি চিংড়ির গায়ে ঢুকে স্বাদ বাড়াবে।
2captcha মাছ সাঁতলানো হলে এই তেলেই পেঁয়াজ বাটা যোগ করে কিছু ক্ষণ কষিয়ে নিন। এর পর এতে আদা বাটা, রসুন বাটা যোগ করুন। একটি পাত্রে সব রকমের গুঁড়ো মশলা মিশিয়ে জল গিয়ে একটি থকথকে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই পেস্ট এ বার বাটা মশলাগুলির মধ্যে যোগ করুন। ভাল করে মশলা কষান। কষানো শেষ হলে মশলা থেকে তেল ছাড়তে শুরু করবে। এ বার তাতে স্বাদ অনুযায়ী কাঁচা লঙ্কা ও চিংড়ি যোগ করুন। তেল-মশলার সঙ্গে চিংড়ি ভাল করে কষানো হলে পোস্তবাটা যোগ করুন। অল্প নেড়ে চাপা দিয়ে দিন। ফুটে গেলে গরম মশলার গুঁড়ো ও ধনেপাতা কুচি যোগ করে নামিয়ে নিন।
2captcha

Comments